
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি নামিদামি বেকারি ক্যাপিটাল ফুডস। কেক, বিস্কুট লাড্ডুসহ নানান ধরনের খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে তারা। নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখে রাখতে হয়। তাদের উৎপাদিত খাদ্যেও তারিখ লেখা ছিল। তবে সেসবে ৭ থেকে ৮ দিন পরের তারিখ লিখে রাখা হয়। প্রতিষ্ঠানটি সরকারের কাছ থেকে মিল্ক ব্রেড উৎপাদনের অনুমোদন না নিলেও দেদারসে এসব উৎপাদন করে যাচ্ছিল। এইসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
একই উপজেলার আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ইয়াকুব এন্ড মাহবুব ফুড প্রোডাক্টস। তারা পচা মরিচ দিয়ে মরিচ গুড় তৈরি করছিল। গুঁড়ো লাল দেখানোর জন্য মেশানো হয় মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর রং। এছাড়াও এসব গুঁড়ো তৈরি হতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। নিরাপদ খাদ্য আইনে এই প্রতিষ্ঠানকেও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভৈরব বাজারে রহিম বেকারিতে কেকে ব্যবহার হচ্ছিল মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক রং। তাদের প্রতিষ্ঠানে ক্রয় বিক্রয়ের রশিদও সংরক্ষণ করা হয় না। বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত তাদেরকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন।
শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ায় (সামরিক ট্রায়াল) আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থদণ্ড দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো: আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল।
এছাড়া বিভিন্ন বেকারিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য জব্দ করে আদালত। পরে এগুলো ধ্বংস করা হয়। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করে পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর