
শনিবার, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে "পূর্ণ এবং তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি" ঘোষণায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বাগত জানিয়েছে। কয়েকদিনের গুলি, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং আর্টিলারি হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উত্তেজনা শুরু হয়েছিল ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পাহালগামে হামলার মাধ্যমে, যাতে ২৬ জন নিহত হন। ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে "ক্রস-বর্ডার লিংকেজ" দাবি করে, তবে পাকিস্তান তা খণ্ডন করে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়।
এ অভিযোগের পর ভারত পাকিস্তানে একের পর এক ড্রোন হামলা চালায়, যার ফলে বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কিছু চেকপোস্ট ধ্বংস করে।
শনিবার সকালে ভারত পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান তার "অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস" নামে একটি প্রতিক্রিয়া শুরু করে।
একটি বড় ধাপ হিসেবে, দুই দেশ সম্মত হয় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় বাস্তবায়িত হয়। এই পদক্ষেপকে বিশ্বের নেতারা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ সম্পাদক, আন্তোনিও গুতেরেস, যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে শান্তির দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদী শান্তির পথে একটি পদক্ষেপ হবে।
চীনও পাকিস্তানের সতর্ক এবং দায়িত্বশীল আচরণ প্রশংসা করেছে, এবং তার সবসময়কার কৌশলগত বন্ধু হিসেবে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তুরস্ক উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরাসরি এবং ফলপ্রসূ আলোচনা শুরু করার জন্য। সৌদি আরব এবং যুক্তরাজ্যও যুদ্ধবিরতি স্বাগত জানিয়েছে এবং উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর