
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে ভুট্টা শুকানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠিহাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে।
চেংঠিহাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন খান ও তার সহযোগী সাজেদুল ও এনজাউল গত শুক্রবার বাগদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের একাংশ ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করেন। এসময় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বাঁধা দিলেও তারা বাঁধা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক মাঠ চাষ দেন। মাঠে হালচাষ দেওয়ার প্রতিবাদ করলে মাহাতাব, এনজাউল, সাজেদুলসহ তাদের লোকজন উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিশু কিশোর খেলোয়াড় লিমন, জয়, নূর ইসলাম, ফয়সাল, হৃদয়, লাবিব, রুমন, নিশানের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
সরেজমিন স্কুল মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাহাতাবের লোকজন মাঠে ভুট্টা শুকাচ্ছেন। সাংবাদিক এসেছে শুনে শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়রা মাঠে আসলে মাহাতাবের লোকজনও মাঠে উপস্থিত হয়। সাংবাদিকদের সামনেই মাহাতাবের লোকজন শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের ধমক দেয় এবং মারতে উদ্ধত হয়। বিষয়টি শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়রা তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইলে অবগত করেন।
লিমন, জয়, নূর ইসলাম, ফয়সাল জানান, আগামী ২৬ মে এই মাঠে জয়পুরহাট ও বগুড়ার বালিকা ফুটবল টিম নিয়ে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক মাহাতাবউদ্দিন মাঠটাকে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করলো। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি এরপর থেকে তারা আমাদের ও আমাদের অভিভাবকসহ আত্মীয় স্বজনদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমরা বিষয়টি স্থানীয় বিএনপিস হ ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করেছি।
চেংঠিহাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাতাবউদ্দিন খান বলেন আমার বাপ-দাদারা এই জমি স্কুলকে দান করেছে। ভুট্টা শুকানোর জন্য আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বলে উঁচু নীচু মাঠে হাল চাষ দিয়েছি।
বাগদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী হুমায়ুন মাহাতাবকে ভুট্টা শুকানোর অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু মাঠ হাল চাষ করার অনুমতি দেননি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মাঠে যেন কোন কার্যক্রম কোনোকিছু না করেন তা বলে দেয়া হয়েছে। শিশু কিশোরদের ওপর চড়াও হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর