
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ মে) রাত ১১টা থেকে অনশন শুরু করেন তারা। অনশনের ১১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় চলমান ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ধারাবাহিকতায় নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। রাত ১১টার দিকে নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অনশন শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন শিক্ষার্থীদের দাবি আমলে না নিয়ে বরং মামলা ও সাধারণ ডায়েরির (জিডি) মাধ্যমে তাদের দমন করার চেষ্টা করেছেন। তারা দাবি করেন, এ পরিস্থিতিতে উপাচার্য তার পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। দ্রুত তার অপসারণের দাবি জানান তারা, অন্যথায় আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি অংশ। শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনশনে অংশ নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গত ২৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা প্রথমে ২২ দফা, পরবর্তীতে চার দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এসব দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখন তারা উপাচার্যের অপসারণের একদফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউন, উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগানো এবং একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, ফলে ক্যাম্পাসে কার্যত অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর