
ভোলার চরফ্যাশনে ডাকাত জাফর ইমাম স্বপনকে হত্যা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কাড়াদন্ড দিয়েছে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
প্রত্যোককে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কাড়াদন্ড দেয়া হয়েছে। বাকি আট আসামিকে খালাস দেয়া হয়। বুধবার (১৪ মে) বেলা ১২টার দিকে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী জজ সাখাওয়াত হোসাইন এই রায় দেন।
কাড়াদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আঃ লতিফ মিয়ার ছেলে হাফেজ মনির উদ্দিন, মৃত হাজী আবু তাহের ছেলে জাভেদ মিয়া, হাফেজ মনির উদ্দিনের ছেলে মো: হাবিত ওরফে ছাবিত ও উত্তর ফ্যাশন ৪নম্বর ওয়ার্ডের শাজাহান মানিক জমাদারের ছেলে মোস্তফা জমাদার টুটুল। এরা সবাই পলাতক।
এদের মধ্যে হাফেজ মনির উদ্দিন ও মোস্তফা জমাদার টুটুলকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জাভেদ মিয়া ও মো. হাবিব ওরফে ছাবিতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ২৪ এপ্রিল চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর ফ্যাশন গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নুর উদ্দীনের বাড়িতে নিহত জাফর ইমাম স্বপন তার দলবল নিয়ে ডাকাতি করতে যায়। এসময় নুর উদ্দীনের পরিবারের বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় আসামীরা জাফর ইমাম স্বপনকে চিনতে পারেন।
পরদিন ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাফর ইমাম স্বপন রিকশা করে ওসামনগঞ্জ ইউনিয়নের নায়েবের পুল বাজারের দিকে যাওয়ার পথে আসামি হাফেজ মনির এবং মোস্তফ জমাদার টুটুল তাকে পথরোধ করে তুলে নিয়ে ওসমানগঞ্জ লতিফ মিয়ার হাটে নিয়ে যায়। সেখানে পোস্ট অফিসের নিচে টুটুল তাকে দড়ি দিয়ে বাধে, অন্য আসামিরা মারধর করে।
তার দুই পায়ে পেরেক গেঁথে দেয়, হাটুর নীচের হাড় ভেঙে দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই জাফর ইমাম স্বপন মারা যায়। এই ঘটনায় ২৫ এপ্রিল চড়ফ্যাশন থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক ছগীর মিয়া বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর