
বরিশালে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের চার সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় রবিন নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা। রবিন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা।
পুলিশ সদস্যরা হলেন- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন স্টিমারঘাট (নানিবুড়ি) ফাঁড়ির টিএসআই রেজাউল করিম রেজা, এটিএস মাহবুব আলম, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর ও হাবিবুর রহমান।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মূলত নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এমনটি ঘটেছে। পালিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ জানান, দুপুর ১টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদর উপজেলার নেতা রবিনকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ খবর দিয়ে তাদের হাতে সোপর্দ করা হয় রবিনকে।
এসময় স্টিমারঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা, এএসআই মাহাবুব এবং দুজন কনস্টেবল ছিলেন। তারা ওই ছাত্রলীগ নেতাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পালিয়ে যায় রবিন। বিষয়টি আমরা বিএমপি কমিশনারকে জানানোর পর দায়িত্ব অবহেলার কারণে চারজনকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, পালিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা যে মামলার আসামি সেটা আমাদের পুলিশ সদস্যরা জানতো না। পাবলিক তাদের মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে। তারাও পুলিশকে জানায়নি যে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে বা সে ছাত্রলীগ নেতা।
তিনি বলেন, পাবলিক মারধর করায় আহত ছাত্রলীগ নেতা রবিনকে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের মেডিকেল ওয়ানকে দায়িত্ব দিয়ে ফাঁড়ির চার পুলিশ সদস্য দুপুরে খাবার খেতে যায়।
সেই সুযোগে রবিন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর