
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বিয়ের নাটক সাজিয়ে এক কৃষকের বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে নববধূ সেজে আসা এক নারী ও তার সহযোগীরা।
এই ঘটনায় নববধূ, দুই ঘটক ও এক নিকাহ রেজিস্টারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক হোসেন আলী।
শনিবার (১৭ মে) অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আকবর।
অভিযোগ স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের হোসেন আলী এক বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সুযোগে গ্রামের দুই ঘটক জোবাইদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামতাকে পাত্রী দেখানোর কথা বলে ১৪ মে লালমনিরহাট শহরে নিয়ে যান। সেখানে স্বামী পরিত্যক্তা রুমানা খাতুনকে পাত্রী হিসেবে দেখান। হোসেন আলী রাজি হয়ে যান এবং এক লাখ টাকা দেনমোহরে কাজী আমজাদ হোসেন সরকারের মাধ্যমে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর নববধূকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ঘটক জোবাইদুলের মেয়ে সঙ্গে যান। কিন্তু পরদিন সকালেই নববধূ ও ওই মেয়ে অসুস্থ বাবার খোঁজ নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হলে হোসেন আলী ঘরে খোঁজ নিয়ে দেখেন, তামাক বিক্রির এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার নেই।
হোসেন আলীর অভিযোগ, “ঘটকরা আগেই জানত, আমার বাড়িতে টাকা ও স্বর্ণ আছে। তাই এই বিয়ের নাটক সাজিয়ে লুট করেছে। এমনকি বিয়ের পর ওরা ১০ হাজার টাকা বখশিশও নেয়।” তিনি জানান, পরে কাবিননামা নিতে গেলে কাজী আমজাদ তা না দেয় নি।
এ বিষয়েকাজী আমজাদ বলেন, “ আমি উভয় পক্ষের সকল কাগজপত্র নিয়ে ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। বিয়ের পর তার বউ থাকবে কিনা তা কাজিদের বিষয়নয়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি আলী আকবর বলেন, “এটি প্রতারণার নতুন কৌশল হতে পারে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর