
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগনে, নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরি তুহিন বলেছেন, গত আঠারো বছর যাবৎ এই ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকার ব্যাপক অপচয় করেছে। তারা হত্যার মাধ্যমে জীবনের অপচয় করেছে, তারা ধ্বংস করেছে দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে নিয়ে গেছে তারা। ধ্বংস করেছে এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা আইন-আদালত ধ্বংস করেছে। এমন কোন সেক্টর নেই তারা ধ্বংস করে নাই।
তিনি আজ শনিবার বিকালে দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও নিজ উপজেলায় আগমন উপলক্ষ্যে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ডোমার হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নিজ জেলা নীলফামারী ও নিজ উপজেলা ডোমারে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।
তিনি বলেন, আজকে সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে। মনে রাখতে হবে ভাই বোনেরা এই সংস্কার বিষয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান অনেক আগেই ৩১ দফার একটি সংস্কারের প্রস্তাব আপনাদের সামনে তুল ধরেছেন। আমাদের বিএনপির চেয়ারম্যান আপনাদের সামনে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। আমরা চাই যে, এই সরকারকে আমরা যেভাবে সহযোগিতা করছি সেই সহযোগিতা দেশের আপামর জনগণও করছে। বিএনপির এই সংস্কারের প্রস্তাবকে সঙ্গে নিয়ে আরও অন্যান্য দলের যে সংস্কার আছে, সেগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংক্ষিপ্ত করে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক উপায়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই সরকার বলে তারা সংস্কার করেছে। এই সরকার নাকি বৈষম্য দূর করেছে। আমি তা নিজেই সরকারের বৈষম্যের শিকার। কোন বৈষম্য তারা দূর করতে এখনো পারেনি। আমরা আশা করবো যে সরকার আরো সিরিয়াস হবে বৈষম্য দূর করার ব্যাপারে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক উপায়ে সকলকে নিয়ে জনগণের সকলের আকাঙ্ক্ষা যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
রংপুর বিভাগ অবহেলিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নীলফামারী ও রংপুরের মাটিতে আমরা আর অবহেলিত থাকতে চাই না। নীলফামারী রংপুর অঞ্চলের মানুষ আমরা বহুদিন ধরে পিছিয়ে আছি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষেরা উন্নত হয়। তাদের সন্তানেরা দেখা যায় যে বড় হয়ে বড় বড় চাকুরি পায় আর আমাদের সন্তানরা এখানে পড়ে থাকে। আমাদের এখানে বড় বড় হাসপাতাল নাই কেন। বিশ্ববিদ্যালয় নাই কেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলায় এখন বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আমাদের কি অধিকার নাই। এটা আদায় করতে হলে আমাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা বিএনপি’র সভাপতি আ.খ.ম আলমগির সরকার, ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন, ডোমার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান আনু, সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফর আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু, আবু সাদেক চৌধুরি লুলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির প্রতিটি ইউনিটের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাহরিন ইসলাম চৌধুরি তুহিনকে ফুল ও সম্মাননা স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে দুপুরে নীলফামারী জেলা বিএনপি জেলা শহরে তুহিনকে গণ সম্বর্ধনা প্রদান করেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর