
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মো: অহিদুজ্জামানকে অন্যায়-অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে দুই শিক্ষককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়াও, সাবেক ভিসির সময় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে (সার্কুলারভিত্তিক) বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি, সিলেকশন বোর্ডে যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিল তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সরবরাহ করতে বলেছে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী থেকে।
রবিবার (৪ মে) সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নোয়াখালী থেকে একটি চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘ড. মো: অহিদুজ্জামান, সাবেক ভিসি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী ভিসি থাকাকালীন নিম্নবর্ণিত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে (সার্কুলারভিত্তিক) বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি, সিলেকশন বোর্ড এ যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিল তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আগামী বুধবার (৭ মে)-এর মধ্যে সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া উক্ত ১৩ জন শিক্ষকরা হলেন- ‘অধ্যাপক ড. দিব্যদৃতি সরকার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মমিন সিদ্দিকী (সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. মো: রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন (বাংলা বিভাগ), প্রভাষক মো: সোহানুজ্জামান (বাংলা বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. আ. শ. ম. শরিফুর রহমান (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ), ড. মো: আতিকুর রহমান ভূঁইয়া (কৃষি বিভাগ), অধ্যাপক ড. গাজী মো: মহসিন (কৃষি বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া (আইআইটি), সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো: সিয়াম (শিক্ষা বিভাগ), অধ্যাপক ড. এমডি মাসুদ রহমান (বাংলা বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার (বিএমবি বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ইমরুল কায়েস (ইএসডিএম বিভাগ)।
একই দিনে অন্য চিঠিতে দুই শিক্ষককে তলব করেছে দুদক। তারা হলেন, শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো: সিয়াম এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো: সোহানুজ্জামান।
চিঠিতে বলা হয়, ড. মো: অহিদুজ্জামান, সাবেক ভিসি,নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্ণিত মামলায় বিষয়ে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, উল্লিখিত অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের লক্ষ্যে বুধবার (৭ মে) সাড়ে ১১টায় নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে (জাতীয় পরিচয়পত্র) সাথে নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
এ ব্যাপারে নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তর পাঠিয়েছি। এটি মূলত সাবেক ভিসির সময়ে দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে চিঠি দিয়েছিল আমাদের। এছাড়াও, আরো দুই শিক্ষককে সাক্ষাৎকারের জন্য পাঠিয়েছিল আমরা তাদেরকেও জানিয়েছি।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর