
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ বলেছেন, আমরা দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো আওয়ামী লীগের-ছাত্রলীগের দোসররা নির্বিঘ্নে অবাধে বিচরণ করছে এবং তাদেরকে আপনারা কিন্তু কোনো শাস্তির আওতায় আনছেন না।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলাদেশের ইতিহাসে যারা ৭১ এ পরাধীন এবং জুলাইয়ে পরাধীন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তারাই একসাথে হয়ে আবার এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে যেন আওয়ামী লীগকে-ছাত্রলীগকে আবার পুনর্বাসন করা যায়।
মঙ্গলবার (২০ মে) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এদিন বেলা ১১টায় ডায়না চত্বরে সংগঠনটির উদ্যোগে সদস্য নবায়ন ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভা হয়।
তিনি আরো বলেন, একটি কথা বলতে চাই যে, একটি দল আছে যারা সাম্য, শাওন, পারভেজরা খুন হলে তারা উল্লাসে মেতে ওঠে। তারা বিভিন্ন নেরেটিভস তৈরি করে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাত্রদলের কর্মীদের বলে নাকি টোকাই। ভাবতে অবাক লাগে যেই ছাত্রদলই গত ১৫ বছর রাজপথে ছিল। অন্য কোনো সংগঠন কিন্তু রাজপথে ছিল না। একমাত্র ছাত্রদল শেখ হাসিনার সমস্ত বাধাকে উপেক্ষা করে সমস্ত আন্দোলন সংগ্রাম যারা চালিয়ে গিয়েছে। গত জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের সবচাইতে একক সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আমরা সেই তালিকাও প্রকাশ করেছি।
ছাত্রদল সহ-সভাপতি বলেন, ইসলামী মূল্যবোধকে ধারণ করে এমন কোনো সংগঠন যদি বাংলাদেশে থাকে, থেকে থাকে সেটার নাম হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
সভায় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ। অতিথি ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহিনুজ্জামান, ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আবদুল গফুর গাজী, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. রশিদুজ্জামান, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. জাকির হোসেন, আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব শাহীন।
এছাড়াও ইবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুমিনুর রহমান মুমিন, ওমর ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক, আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন। সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম সৌরভ, রাকিব হোসেন সাক্ষর, মিথুন, উল্লাস মাহমুদ, রুকনুজ্জামান, রায়হানুল ইসলাম টিপু, মেহেদী হাসান, আসাদ তৌফিক, আলামিন, রিফাত, তৌহিদুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন।
এর আগে বিশ্বলবিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে শুভেচ্ছা র্যালি বের করে সংগঠনটি। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তরে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে র্যালি নিয়ে ডায়না চত্বরে এসে আবার মিলিত হয়।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর