
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার অনুমতি মিললেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না ভোলার জেলেদের জালে। এতে লোকসান আর ঋণের বোঝায় নাকাল হয়ে পড়েছেন প্রায় ৮৯ হাজার ৬০০ নিবন্ধিত জেলে।
জেলেরা জানান, প্রতিদিন নদীতে নামতে একটি ট্রলারের খরচ পড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। অথচ মাছ বিক্রি করে আয় হয় মাত্র দেড়-দুই হাজার টাকা। ফলে বাড়ছে দেনা আর অনেকে বাধ্য হয়ে জাল ফেলা বন্ধ করেছেন। অলস সময় পার করছেন তীরে বসে। এ অবস্থায় বিকল্প আয়ের পথ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে দুঃসহ দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এদিকে, জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে চার মাসের জন্য নির্ধারিত খাদ্য সহায়তার প্রথম দুই মাসের চাল বিতরণ হলেও, বাকি দুই মাসের চাল এখনও মেলেনি জেলেদের হাতে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার ১৮ দিন পার হলেও চাল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক এরশাদ ফরাজি জানান, “মাছ নেই বললেই চলে। কিন্তু চালও এখনো আসেনি। চাল পেলে কিছুটা হলেও জেলেরা স্বস্তি পেত।”
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আপাতত মাছ কম ধরা পড়লেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে শিগগিরই। তিনি বলেন, “চাল বরাদ্দ হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহেই উপজেলা পর্যায়ে ডিও দিয়ে চাল বিতরণ শুরু হবে।”
ভোলার নদীভিত্তিক জীবিকা নির্ভর প্রায় ৯০ হাজার জেলে এখন আশায় আছেন—নদীতে ফিরবে ইলিশ, আর ডাঙায় মিলবে সরকারি সহায়তার চাল।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর