
নাটোরের সিংড়ায় খাদ্য অধিদপ্তর লেখা যুক্ত দুই গাড়ি চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার (২১ মে) রাতে সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এই চাল জব্দ করে সেনা ক্যাম্পে নেয়া হয়।
পরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে জব্দকৃত চাল সিংড়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে। জব্দকৃত দুই গাড়িতে ৩০ কেজি ওজনের বস্তায় ১৬ টন ২১০ কেজি চাল রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে দুটি গাড়িতে পলিথিন মোড়ানো খাদ্য অধিদপ্তর লেখা চাউল সিংড়া বাজার থেকে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। রাস্তায় টহলকৃত সেনাবাহিনী গাড়ি দুটি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কিন্তু গাড়ির চালকরা সঠিক তথ্য দিতে না পারায় দুই গাড়ি ভর্তি চাল জব্দ করে সেনা কাম্পে নেয়া হয়।
জব্দকৃত চাল অবৈধভাবে কিনে সিংড়া থেকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন সিংড়া বাজারের মেসার্স রাজু এন্টার প্রাইজ এর মালিক আলহাজ্ব রেজাউল করিম রাজু।
তবে রেজাউল করিম রাজু বলেন, সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দকৃত কাবিখা সহ মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের কাছে থেকে তিনি এই চাল কিনে নাটোরে বিক্রি করেন। জব্দকৃত চাল তার বৈধ চাল।
এ বিষয়ে সিংড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা গোলাম রসুল বলেন, এই চালের সাথে খাদ্য গোডাউনের কোন সম্পর্ক নেই। ডেলিভারি দেওয়া চাল বাহিরে নিয়ে যাওয়ার পর জব্দ করা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়ামুল হক বলেন, সরকারি বিভিন্ন কাজের চালের ডিও যারা কিনে বাহিরে ব্যবসা করেন তাদের চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। এই চাউলের সাথে খাদ্য অফিসের কোন সম্পর্ক নেই।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানায়, সরকারের কাবিখা প্রকল্পের চালগুলো সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিয়ম অনুযায়ী ইউএনও কর্তৃক বরাদ্দকৃত চাউল উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। শ্রমিকরা কাজের বিনিময়ে চালের পরিবর্তে টাকা নিয়ে থাকেন। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ইউএনওকে অবহিত করে চাল উত্তোলনপূর্বক তা বিক্রি করে শ্রমিকদের দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি চালগুলো ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, চাল জব্দের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর হয়নি।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এটা হয়ত কাবিখা কর্মসূচির লেবারদের চাল আবার ভিজিএফ এরও হতে পারে। লেবাররা কাজ করে চাল না নিয়ে নগদ টাকা নেন।
সেক্ষেত্রে প্রকল্পের সভাপতি সেই চাল বাজারের বিক্রয় করে দেয়। এটা দেশের সব উপজেলাতেই হচ্ছে। অবৈধ কোন কিছু মনে হচ্ছে না।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর