
পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর বালুমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর বালুমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এতে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব নওদাপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন (৪৫), পাকশীর রূপপুর বিবিসি বাজার এলাকার চপল সরদার (২৭), চররূপপুরের রেজাউল হক ওরফে লালু, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার শওকত ইসলাম, গোলাপনগর বাঙালপাড়ার রিপন হোসেন ও ফকিরাবাদ গ্রামের মো. সানাউল্লাহ। গুরুতর আহত সেলিম হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরদীর সাঁড়া এলাকার পদ্মা নদীতে বালু ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার মো. কাকন ও ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার উভয়পক্ষ পদ্মার চরে মহড়া দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাকনের অনুসারীরা কয়েকটি ট্রলারে করে এসে চরের বালুমহাল দখলের চেষ্টা করলে টনি বিশ্বাসের লোকজন তাদের প্রতিরোধ করে। এরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
টনি বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বৈধভাবে ইজারা নিয়ে বালুর খাজনা আদায় করছি। প্রতিপক্ষ কাকনের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এতে বাধা দিয়ে আসছে। আজ সকালে তারা হঠাৎ করে ট্রলারে করে এসে হামলা চালায় ও গুলি ছোড়ে। আমার অন্তত ১০-১২ জন লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ।’ তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
অপরদিকে, কাকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ পুলিশের ওসি ইমরান মাহমুদ জানান, ‘এ ঘটনায় ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত বালুর ইজারা ও খাজনা আদায় নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।’
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর