স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি তৈরিতে যুবসমাজের অংশগ্রহণ জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যুবদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভাবনাকে গুরুত্ব দিলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা সহজ হবে। এজন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও যুব অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায় গভার্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম ও ইউএনডিপির যৌথ আয়োজনে ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জন-আকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক নাসিফা আলী। ইউএনডিপির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যানালিস্ট সাওসান সুহা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা। এতে বিভিন্ন ছাত্র, নাগরিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি আদিবাসী, দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুব প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ফোরামের ফ্যাসিলিটেটর ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ে ফোরামের মতামত উপস্থাপন করেন।

নাসিফা আলী বলেন, “তরুণরাই পরিবর্তনের ধারক ও বাহক। ওয়েভ ফাউন্ডেশন গত ৩৫ বছর ধরে ন্যায়, অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে গভার্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখছে।”

বক্তারা বলেন, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া স্থানীয় সরকার সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। রাজনৈতিক দলগুলো যেন তাদের ইশতেহারে স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়, ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো নিজ নিজ কার্যক্রমে বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়কে গুরুত্ব দেয়—এমন সুপারিশ করা হয়।

বক্তারা আরও বলেন, নিজেদের সংগঠন ও কমিউনিটিতে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা নিতে হবে যুবসমাজকে।