• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ২ সেকেন্ড পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২৫, ১২:৪৯ দুপুর

৭ দিন পর টয়লেটে মিলল রুহির দেহ, আটক সৎমা-নানা-চাচা

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

জয়পুরহাটের কালাইয়ে নিখোঁজের সাত দিন পর উপজেলার হিমাইল গ্রাম থেকে চার বছর বয়সি শিশু রুদিয়া আক্তার রুহির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে কালাই থানা পুলিশ। 

এই ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর শিশু রদিয়ার সৎমা সোনিয়া, চাচা রনি এবং সোনিয়ার বাবা জিয়া কসাইকে কালাই থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে  হত্যার দায় স্বীকার করেন শিশু রুদিয়ার সৎমা সোনিয়া এবং চাচা রনি। 

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১০ টায় অভিযান চালিয়ে শিশুর লাশটি উদ্ধার করে। 

শিশু রুদিয়া জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। রুদিয়ার মায়ের নাম আর্জিনা। আর্জিনার বাবার বাড়ি একই গ্রামে স্বামীর বাড়ির পার্শেই। শিশু রুদিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেখানেই থাকেন। 

পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে  জানা গেছে, গত ২৪ মে দুপুরে নানার বাড়ি থেকে একই গ্রামে অবস্থিত দাদা-দাদির বাড়িতে বেড়াতে গেলে সৎমা সোনিয়া এবং তার চাচা শিশু রুদিয়াকে ঘরে ডেকে নেয়। এরপর তাকে হত্যা করেন। পরে লাশ পায়খানার সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন। ঘটনার সময় শিশুটির বাবা মাঠে ধান কাটতে ও দাদা-দাদি ঘাস আনতে গিয়েছিলেন।

এদিকে রুদিয়ার মা তার সৎমা ও চাচা রনির কাছে রুদিয়ার খোঁজ জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে বলেন, সে বাড়িতে আসে নাই। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন রুহির মা-বাবা, দাদা-দাদিসহ গ্রামবাসী। পরদিন ২৫ মে রোববার শিশুটির বাবা কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। এরপর পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে রুদিয়ার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়া কসাই সৎমা সোনিয়া এবং শিশুটির চাচা রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তারা শিশুটিকে হত্যা করে লাশ পায়খানার সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন বলে স্বীকার করেন। এরপর পুলিশ শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে রুদিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে।

কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এবং শিশুটি জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]