
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নড়াইলের পশুর হাটগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি জমে উঠেছে। জেলার তিনটি উপজেলার ছোট-বড় হাটগুলোতে গরু-ছাগলের বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাইজপাড়া হাট, নাকসী বাজার, লোহাগড়া বাজার, শিয়রবর, লাহুড়িয়া, দিঘলিয়া হাটসহ বিভিন্ন হাটে বিপুল সংখ্যক পশু বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। ব্যাপারীরা বলছেন, মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। অনেক খামারি ক্রেতাদের জন্য গরু বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা দিচ্ছেন।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি। মিরাজ মির নামের একজন ক্রেতা জানান, তিনি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন। তবে আশরাফুল বিশ্বাস নামের আরেকজন ক্রেতা জানান, দাম বেশি চাওয়ায় পশু কিনতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তারা বেশি দাম হাঁকছেন। তবে, বড় আকারের ছাগলের দাম তুলনামূলকভাবে কম, যা ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, তিনি ২০ বছর ধরে নড়াইলের হাট থেকে গরু কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন। সাহেব আলী নামের একজন জানান, নড়াইলের গরু দেশি জাতের হওয়ায় অন্য জেলায় এর চাহিদা বেশি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৫৮৫টি। এর মধ্যে ২৩ হাজার ২৩৩টি গরু এবং ৩১ হাজার ৩৫২টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। জেলায় কোরবানির জন্য ৪০ হাজার ৫১৬টি পশু প্রয়োজন। ফলে, ১৪ হাজার ৬৯টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সিদ্দীকুর রহমান জানান, প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণে খামারিদের উৎসাহিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর জানান, জাল টাকা রোধ এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। হাটগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর