
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অবহেলায় ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হয়েছে পূর্ব ফরাজীপাড়ার কয়েকশ পরিবার।
গাইডওয়াল নির্মাণে দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ও তদারকির অভাবে পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় ২০টির বেশি ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে এবং শতাধিক বসতঘর প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর জালালাবাদ ও পোকখালী ইউনিয়নের সংযোগস্থলে ভাঙনপ্রবণ এলাকায় একটি পুরনো ব্রিজের পাশে গাইডওয়াল নির্মাণের দরপত্র হলেও ঠিকাদার কেবল বিল উত্তোলনের জন্য পুরনো বাঁধ ভেঙে কাজ শুরু করে বন্ধ করে দেন।
এর ফলস্বরূপ, বুধবার রাতের পাহাড়ি ঢলে ওই খোলা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে আসবাবপত্র, খাদ্যশস্য, পুকুরের মাছ এবং গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিমল চাকমা জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৪টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ৭৪টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়িত্বহীনভাবে বাঁধ ভেঙে গাইডওয়াল প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রাখায় এই দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডি থেকে এক কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পেলেও সময়মতো নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এই ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
এলজিইডির কক্সবাজার জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মামুন খান জানান, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ। প্রকৃতির বিপর্যয়ের আগে কাজ শুরু হয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে পাকা সড়কের ভাঙা অংশে আরসিসি ঢালাই দিয়ে টেকসই গাইডওয়াল নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধসে যাওয়া সড়কটি জালালাবাদ ও পোকখালী ইউনিয়নের মানুষের ঈদগাঁও সদর ও বাজারে যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিল। বর্তমানে এই দুই ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর