
অর্থ আত্মসাৎ, জমি জবরদখল এবং শ্রমিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কুদরত-ই-খুদা মিলনকে অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৫) ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অর্থ আত্মসাৎ, জমি জবরদখল, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম ও বাণিজ্য এবং ট্রাক প্রতি লোড-আনলোড কার্যক্রমে সিন্ডিকেট তৈরি করে চাঁদা আদায়। এছাড়াও, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করে অনুপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগগুলো যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসন প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা পায়। এরপর চেয়ারম্যান মিলনকে সাময়িক বরখাস্ত করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তবে, চেয়ারম্যানের দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং পরবর্তীতে সরেজমিনে পুনঃতদন্তে অভিযোগগুলোর সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ২৬ মে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) ও (ঘ) ধারার অধীন সংঘটিত অপরাধের কারণে চেয়ারম্যানকে ৩৪(৫) ধারায় অপসারণ করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. নূর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাগুলোর অবগতির জন্য জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর