
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপ্টিক ট্যাংক থেকে ছয় বছর বয়সী এক শিশুর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ৪টার দিকে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিন্নাদাইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম লামিয়া। সে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের গার্মেন্টস শ্রমিক নাজিম ও মিনার মেয়ে। বাবা-মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কর্মরত থাকায় লামিয়া স্থানীয়ভাবে তার নানা আব্দুর রশীদের বাড়িতে থাকত।
৩ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে আব্দুর রশীদের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় লামিয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না মেলায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার নানা।
এরপর শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ রাতভর অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ভোর ৪টার দিকে বিন্নাদাইর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপ্টিক ট্যাংক থেকে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি মো. আছলাম আলী জানান, নিহত লামিয়ার মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকানো ছিল এবং সে ছিল নগ্ন অবস্থায়। তার হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হতে পারে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে বলে জানান ওসি।
পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে, সেটি আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপার বাড়ি ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রূপা বাড়িটি ছেড়ে পালিয়ে যান। তারপর থেকেই এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল এবং মাদকসেবী ও অপরাধীদের আখড়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
পুলিশ পরিত্যক্ত ওই বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ থেকে কনডম, মাদক সেবনের সরঞ্জামসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান ও তদন্ত কার্যক্রম চলছে। এই নির্মম ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে পুলিশ।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর