ঢাকা: শ্রমিকদের কল্যাণে গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের নেতারা এই অভিনন্দন জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারিক হোসেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তাঁরা বলেন, বিড়ি শিল্প উপমহাদেশের একটি প্রাচীন শিল্প এবং একসময়ে এটিই ছিল কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস। আজও দেশের অনেক অঞ্চলে এই শিল্প মানুষের জীবন ধারণের একমাত্র অবলম্বন।

ফেডারেশনের নেতারা বলেন, সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছে, তার মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এই বাজেটে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং ৬২৬টি আমদানি পণ্যে শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। একইসাথে প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের উপর শুল্ক অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁরা সরকারকে সাধুবাদ জানান।

বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন শিল্প উল্লেখ করে শ্রমিক নেতারা বলেন, দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এই শিল্পের অবদান অপরিসীম। তাঁরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণে বিড়ি শিল্পের উপর মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিড়ি ও সিগারেট একই গোত্রভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এ দুটির মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে। তাঁরা বিড়ির উপর থেকে অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়:

১. বিড়ি শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে।
২. বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।
৩. ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

নেতারা বলেন, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশে হাতে তৈরি বিড়িকে প্রণোদনা দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও এই শিল্পের বিকাশে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। পাশাপাশি, নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের দাবি জানান ফেডারেশনের নেতারা।

সালাউদ্দিন/সাএ