বাগেরহাট: আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচির আওতায় বাগেরহাটে সুখী মানুষ নামক একটি এনজিও পরিচালিত শিক্ষা কর্মসূচির ৫৪ জন শিক্ষিকার বেতন ভাতা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে শিক্ষিকারা ঈদের আগে তাদের বেতন ভাতা তুলতে সক্ষম হন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এনজিও সুখী মানুষ পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের কয়েকজন শিক্ষিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন যে, প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার বশির কয়েকজন শিক্ষিকার চেক বই, ডেবিট কার্ড ও পিন নম্বর নিয়ে গেছেন এবং তাদের তিন মাসের বেতন, বোনাস ও ঘর ভাড়াসহ মোট ২৬ হাজার ৬০০ টাকার একটা অংশ রেখে দেওয়ার কথা বলেন।

বাগেরহাট উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক শুভেন্দু ঘোষ বিষয়টি জানার পর ডাচ বাংলা ব্যাংকে এসে প্রত্যেক শিক্ষিকার বেতন তাদের নিজ নিজ হিসাব নম্বরে প্রদানের ব্যবস্থা করেন।

অভিযুক্ত সুপারভাইজার বশির দাবি করেন, তিনি শিক্ষিকাদের সহযোগিতা করার জন্য ডেবিট কার্ড ও পিনকোড নিয়েছিলেন। কিন্তু সার্ভারDown থাকায় বেতন তোলা যাচ্ছিল না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, চিতলমারী, মোল্লাহাট ও বাগেরহাট সদর উপজেলায় শিক্ষকদের বেতন ও ভাতা নিয়ে এ ধরনের অনিয়ম চলছে। শিক্ষিকারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার কথা জানিয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক শুভেন্দু ঘোষ জানান, খবর পেয়ে তিনি ফকিরহাট এসে শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং উপস্থিত থেকে প্রত্যেক শিক্ষিকার অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, কয়েকজন শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি সংস্থা সুখী মানুষ বাগেরহাটের আটটি উপজেলায় আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এছাড়া, সংস্থাটির বিরুদ্ধে প্রকল্পের শুরু থেকে কোটি কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যা দুদক কর্তৃক তদন্তাধীন।

সালাউদ্দিন/সাএ