• ঢাকা
  • ঢাকা, শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৪৬ সেকেন্ড পূর্বে
প্রতিবেদন: এপি
অনুবাদ ও সম্পাদনা: কামরুল হাসান
প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২৫, ০৫:৩৯ বিকাল

গাজার হাটে একটি গরু, একটি উট আর কয়েকটি ভেড়া—কেনার ক্ষমতা নেই কারও

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহা সামনে। মুসলিম বিশ্বের অন্য প্রান্তে উৎসবের আমেজ শুরু হলেও গাজা উপত্যকায় উৎসব এখন শুধুই একটি দুর্লভ স্মৃতি। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই জনপদে এখন হাটে আছে হাতে গোনা কয়েকটি কোরবানির পশু—একটি গরু, একটি উট এবং অল্প কয়েকটি ভেড়া। তবে সেগুলোর দাম এতটাই বেশি যে, সেগুলো কিনে কোরবানি দেওয়ার মতো সাধ্য নেই সাধারণ মানুষের।

Associated Press (AP)-এর সর্বশেষ রিপোর্টে উঠে এসেছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকার কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাত প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। খাদ্য ও কৃষি সংক্রান্ত স্থানীয় দপ্তরের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই সংকটে গাজায় ৯৬ শতাংশ গবাদিপশু এবং ৯৯ শতাংশ হাঁস-মুরগি ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফলে গাজার হাটে এবার পশু তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে খামারিদের জন্য। আর যারা তুলেছেন, তারা অতি উচ্চমূল্য দাবি করছেন—যার কারণে সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও কোরবানির চিন্তা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা সালেহ আল-আজহরি AP-কে বলেন, “ঈদ মানে ছিল হাসি, আত্মীয়দের সঙ্গে পশু কেনা, খুশি ভাগাভাগি। এখন ঈদের নাম শুনলে বুকের মধ্যে হাহাকার ওঠে। শুধু বেঁচে থাকার সংগ্রাম চলছে।”

গাজার খান ইউনুস, রাফাহ ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের প্রধান খাদ্য এখন জাতিসংঘ ও দাতব্য সংস্থার দেওয়া ক্যানড খাবার। এমনকি ঈদের দিনের জন্য নতুন পোশাক জোগাড় করাও এখন বিলাসিতা।

একটি ভেড়ার দাম গাজায় বর্তমানে ১,২০০–১,৩০০ মার্কিন ডলার (প্রায় দেড় লক্ষ টাকা) পর্যন্ত উঠেছে, যেখানে গত বছর একই ভেড়া ২০০ ডলারের নিচে পাওয়া যেত। গরু কিংবা উট তো কল্পনার বাইরের বিষয় এখন।

গাজার একটি খামারের মালিক হামজা আবু মুহাম্মদ বলেন, “আমার খামারে আগে ৪০০ ভেড়া ছিল, এখন আছে মাত্র ১৭টি। যুদ্ধ, খাদ্য সংকট, ওষুধের অভাব—সব মিলিয়ে আমরা ধ্বংস হয়ে গেছি।”

গাজায় যুদ্ধের কারণে শুধু পশু নয়, খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, আশ্রয়—সবকিছুরই তীব্র সংকট চলছে। শিশুদের হাসির বদলে কষ্টের কান্না, পরিবারের কোলজুড়ে ঈদের খুশি নয়—আছে শুধুই শোক ও শূন্যতা।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, গাজাবাসীর জন্য এই ঈদ কেবল একটি ধর্মীয় ইবাদত নয়—বরং সহনশীলতা, ধৈর্য ও মানবিকতার কঠিনতম পরীক্ষা।

সূত্র: Associated Press (AP), ২ জুন ২০২৫

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com