
কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদী মসজিদ প্রাঙ্গণে আজ শনিবার বসেছে মৌসুমি কসাইয়ের হাট। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে পশু কোরবানির জন্য কসাই খুঁজতে এখানে সমাগম হয়েছে স্থানীয়দের। হাতে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ, যারা বছরের এই সময়টিতে কসাইয়ের কাজ করে বাড়তি রোজগার করতে চান।
হাটে আসা কসাইরা জানান, বছরের অন্যান্য সময় তারা নির্মাণ শ্রমিক, কাঠমিস্ত্রি, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা, ভ্যানচালক বা দিনমজুরের কাজ করেন। ঈদ-উল-আজহায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটাকাটির জন্য তারা কসাইয়ের কাজ করেন।
নগুয়া এলাকার রাজিব নামের একজন জানান, তিনি সাধারণত নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। গত বছর একটি বড় গরু কাটার জন্য চার হাজার টাকা নিয়েছিলেন, এবার ৫-৬ হাজার টাকা নেবেন বলে আশা করছেন।
বৌলাই থেকে আসা বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি ২০ বছর ধরে এই কাজ করছেন এবং পাঁচজনের একটি দল নিয়ে কোরবানি পশু কাটেন। মজুরির পাশাপাশি কিছু মাংসও তারা বাড়ি নিয়ে যান।
এ বিষয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের বিকল্প ইমাম হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর এই সময়ে শ্রমের সঠিক মূল্য দেওয়া উচিত। মজুরির পাশাপাশি কোরবানির মাংসের একটি অংশ তাদের দেওয়া উচিত এবং মজুরির বদলে শুধু মাংস দেওয়া উচিত নয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর