
ছেলের বিয়ের আলাপ আলোচনা যেন কাল হলো মো. আলমগীর শেখের (৪৮)। ছেলে বিয়ের আলোচনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে টেটার (ফুলকুচি) কোপে মারাত্মক আহত হয়ে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তিনি।
আর এমন ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার ভাবরাশুর ইউনিয়নের বামন বড়রা (বামনপাড়া) গ্রামের উত্তরপাড়ায়। আর এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত মো. আলমগীর শেখের বাড়ি ভাবরাশুর ইউনিয়নের বামন বড়রা (বামনপাড়া) গ্রামের উত্তরপাড়ায়। তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, আহত মো. আলমগীর শেখ তার ছেলের বিয়ের আলোচনা করার জন্য বামন বড়রা (বামনপাড়া) গ্রামের উত্তরপাড়ার শেখ বাড়িতে যান। পরে রাত ১টার দিকে বিয়ের আলোচনা শেষ করে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি অতর্কিতভাবে টেটা (ফুলকুচি) দিয়ে তার ঘাড়ের পিছনে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুকসুদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনার কাছ থেকে মাত্র জানলাম। বিষয়টির খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর