ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতা জারি করেছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য ডেস্কে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রকৌশলী (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, আন্তর্জাতিক আগমনী হলে ইমিগ্রেশনে প্রবেশমুখে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের মেডিক্যাল টিম থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে স্পর্শবিহীন পদ্ধতিতে যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয় করবে। এছাড়াও, বিমানবন্দরের টার্মিনালে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা মে মাসে বেড়ে ৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও গেছেন।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার নতুন একটি ধরন (এনবি.১.৮.১) ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে তারা বলছেন, সংক্রমণ বাড়লেও পরিস্থিতি এখনও ভীতিকর নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত ১৮ মে পর্যন্ত বিশ্বের ২২টি দেশে ৫১৮ জন রোগীর দেহে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার নতুন এই ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। ২৩ মে সংস্থাটির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধরনটি ক্রমেই ছড়াচ্ছে এবং এর সংক্রমণের হারও বেশি। ডব্লিউএইচও আরও জানায়, সংক্রমণের সংখ্যা এখনো কম থাকলেও আগের সপ্তাহের তুলনায় তা ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

রার/সা.এ