
বরিশালে এক তরুণীর সঙ্গে আটকের পর বিয়ে করে মুক্তি পেয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান।
কোতোয়ালী মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর গ্যাসটারবাইন চৌমাথা বাজার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে মেহেদী হাসান ও ফাতেমা আক্তার নামের এক তরুণীকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেদী ও ফাতেমার মধ্যে পাঁচ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফাতেমা বরিশাল গ্যাসটারবাইন এলাকায় অবস্থিত অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের ওষুধ তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। মেহেদী তার সাথে দেখা করতে বরিশালে আসেন।
পরবর্তীতে উভয় পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে আলোচনার মাধ্যমে মেহেদী ও ফাতেমার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষরের পর বরিশাল আদালত চত্বরে এক আইনজীবীর চেম্বারে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এরপর মেহেদীকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ছেলে ও মেয়ে পূর্ব পরিচিত এবং তারা বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় উভয়পক্ষের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদৎ সোহাগ ও অভিযুক্ত জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মেহেদী হাসান আটকের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বরিশাল জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সর্বশেষ খবর