
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে তারা ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে দেখলেও, বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিং এবং বিবৃতি প্রদানকে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় বলে মনে করে দলটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিদেশে যৌথভাবে প্রেস ব্রিফিং করার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সরে এসেছেন। দেশে ফিরে এসে অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করে তার অভিমত জানানোই অধিক উপযুক্ত হতো।’
জামায়াত আরও বলেছে, ‘প্রধান উপদেষ্টার এমন পদক্ষেপে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেখানে দেশে বহু রাজনৈতিক দল সক্রিয়, সেখানে শুধু একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া যথাযথ নয়।’
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যেন তারা নিজেদের ভূমিকা জাতির সামনে স্পষ্ট করেন এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে তৈরি হওয়া সংশয় নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর