কুলাউড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর স্কুলছাত্রী নাফিজা জান্নাত আনজুমের (১৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত জুনেল মিয়াকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জুনেল আনজুমের প্রতিবেশী।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে আনজুম নিখোঁজ হয়। পরদিন তার পরিবার কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে বাড়ির পাশে ঝোপের মধ্যে আনজুমের মরদেহ পাওয়া যায়।

তদন্তে নেমে পুলিশ আনজুমের স্কুল ব্যাগ, বই, জুতা ও বোরকা উদ্ধার করে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জুনেলকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, জুনেলের মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার প্রমাণ পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জুনেল জানায়, আনজুম প্রায়ই তার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যেত। সেই সুযোগে জুনেল তার প্রতি কুপ্রবৃত্তি পোষণ করত। ঘটনার দিন আনজুমকে একা পেয়ে সে অনুসরণ করে এবং একপর্যায়ে জোরপূর্বক ঝাপটে ধরে। আনজুম চিৎকার করলে জুনেল তার গলা টিপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলে এবং পরে স্থানীয় কিরিম শাহ মাজার সংলগ্ন ছড়ার পাশের ঝোপে ফেলে দেয়। হত্যার আলামত লুকাতে আনজুমের ব্যাগ, জুতা ও বোরকা ঘটনাস্থলের আশেপাশে ফেলে রাখে।

পুলিশ জানায়, জুনেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আনজুমের বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার, তদন্ত কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে।