
বাঘাইহাট সেনা জোনের উদ্যোগে সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাজারের অচলাবস্থা নিরসন হয়েছে। স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী বাজার বয়কট প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বাঘাইহাট সেনা জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাসুদ রানা, পিএসসি-এর মধ্যস্থতায় গঙ্গারাম ও মাচালং বাজারের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় পাহাড়ি বাসিন্দারা বাজার বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
সোমবার (১৬ জুন) বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাসুদ রানা, পিএসসি জানান, জীপ মালিক সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় পাহাড়ি এলাকাবাসী প্রায় এক মাস ধরে বাঘাইহাট বাজার বর্জন করেছিলেন। স্থানীয় প্রশাসন ও পাহাড়ি-বাঙালি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফা বসেও সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হন। এতে ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। সেই ধারাবাহিকতায় সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বাঘাইহাট সেনা জোনের উদ্যোগে, স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার পাহাড়ি বাঙালি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
সভায় ৩৫ নং বঙ্গলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্ঞ্যানোজ্বতি চাকমা, ৩৬ নং সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা ও অন্যান্য মেম্বারগণ, বাঘাইহাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন, কাঠ মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন (পিচ্চি) সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২২ জুন রবিবার থেকে বাঘাইহাট বাজারের সাপ্তাহিক হাটে স্থানীয় পাহাড়ি বাঙালি সকলের অংশগ্রহণে বাজার পূর্বের ন্যায় জমজমাট থাকবে এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিনও বাজারের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
বাঘাইহাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, বিগত দিনে অনেক বাধা পার করে বাঘাইহাট বাজার আজকের এই অবস্থানে এসেছে। জোন কমান্ডারের এই উদ্যোগের ফলে বাজারের অচলাবস্থা নিরসন হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, বর্তমান জোন কমান্ডারের মতো লোক খুব কমই পাওয়া যায়। তিনি কোনো রকম চাপ প্রয়োগ না করে হাসিমুখে সকলের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর