
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গত দুই দিনে পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
বুধবার (১৮ জুন) শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর (চ্যাংমারী) গ্রামে লুৎফর রহমান (৩৫) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মানসিক সমস্যার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুন) সর্বানন্দ ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা মনমোহিনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জাম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে ডেবিট মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম জানান, জাম গাছের মগডাল ভেঙে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
একই দিনে বেলকা ইউনিয়নের পূর্ব বেলকা গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে আলিফ হোসেন (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ জানান, শিশুটিকে উঠানে রেখে মা ঘরে গেলে সে নিখোঁজ হয়। পরে পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
সোমবার (১৬ জুন) রাতে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ (সরকারপাড়া) গ্রামে জরিনা বেগম (১৮) নামের এক নববধূ বিয়ের এক মাসের মাথায় আত্মহত্যা করেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে তদন্ত চলছে এবং মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
একই রাতে সর্বানন্দ ইউনিয়নের নবম শ্রেণির ছাত্রী চম্পা আক্তার (১৪) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, প্রেমের সম্পর্কে ধর্ষণের শিকার হয়ে বিয়ে না করার ঘোষণায় সে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর