
ব্রহ্নপুত্র নদের তীরে ফুলছড়ি উপজেলার পুরাতন হেডকোয়ার্টার এলাকায় প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার বসে লাল মরিচের হাট। এটি শুধু একটি হাট নয়, এটি স্থানীয় চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার কেন্দ্রবিন্দু। ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও সদর উপজেলার শতাধিক চরের কৃষকেরা এখানে তাঁদের উৎপাদিত মরিচ বিক্রি করতে আসেন।
কৃষকরা জানান, চরাঞ্চলের উর্বর মাটি আর ব্রহ্মপুত্রের পানি এখানকার মরিচের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে, হাটে স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যায় জর্জরিত।
হাটে আসা বগুড়ার পাইকার রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে থাকার জায়গা না থাকায় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ফুলছড়ির মরিচ তার গুণগত মানের জন্য বিখ্যাত। দেশের বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি এখান থেকে মরিচ সংগ্রহ করে। নওগাঁ থেকে আসা ব্যবসায়ী শাহা পরাণ সুলতান জানান, তিনি গত ১০ বছর ধরে এই হাট থেকে মরিচ কিনছেন এবং এখানকার মরিচের মান খুবই ভালো।
তবে, কৃষকেরা মরিচের দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট। রতনপুরের কৃষক আজগর আলী জানান, গত বছর যেখানে ১২ হাজার টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করেছেন, সেখানে এ বছর পাইকাররা ৫ হাজার টাকা দর বলছে।
হাটের ইজারাদার অহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি খাস জমিতে হাটশেড, গোডাউন ও শৌচাগার নির্মাণ করা গেলে ব্যবসায়ী ও সরকার উভয়েই উপকৃত হবে।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, ফুলছড়ির মরিচের হাট গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর এবং খুব দ্রুতই উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করে হাটের পরিবেশ উন্নত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন পেলে এই হাট স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর