
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (NYPD)।
জুন ২১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভেতরে ফোর্ডো, নাটানজ ও এসফাহান (বা ইসফাহান) - এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে। এর পরপরই নিউইয়র্ক পুলিশ ম্যানহাটনের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েনের ঘোষণা দেয়।
এক বিবৃতিতে এনওয়াইপিডি জানায়,
“আমরা ইরানে unfolding পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে আমরা নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক স্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করেছি এবং ফেডারেল অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করছি।”
তারা আরও জানায়,
“নিউইয়র্ক সিটিতে সম্ভাব্য কোনো প্রভাব পড়তে পারে কিনা, আমরা তা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব।”
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, হামলার পর তাদের বোমারু বিমানগুলো ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে—হামলার আগেই এসব স্থাপনা খালি করে ফেলা হয়েছিল। হামলার বিষয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র; কেউ কেউ আগেই এ বিষয়ে ব্রিফিং পেয়েছিলেন।
এই হামলাগুলো চালানো হয় মার্কিন B-2 স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে।
প্রসঙ্গত, ফোর্ডো পরমাণু স্থাপনাটি পাহাড় কেটে গভীর ভূগর্ভে নির্মাণ করা হয়েছে। ইসরায়েল অতীতে একাধিকবার জানিয়েছে, তারা এই সাইট ধ্বংস করার মতো প্রযুক্তি রাখে না। কারণ সিএনএনের পূর্ববর্তী এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফোর্ডোর মূল স্থাপনাগুলো ছিল ভূমির ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে—যা ইসরায়েলের হাতে থাকা প্রচলিত কোনো বোমা দিয়ে ধ্বংস করা সম্ভব নয়।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটির জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ শহরের ওপর তীব্র গরমের প্রভাব মোকাবিলার বিষয়েও তৎপর রয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এই হামলার পাল্টা জবাব দেবে কি না, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর