
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রবাসী হাবিবউল্লাহ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আজ শনিবার উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হেলাল উদ্দিন স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে গিয়ে হাবিবউল্লাহর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন কথা বলছিলেন। এ সময় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতা হেলাল মিয়াকে ধাওয়া করছে এবং তিনি একটি গোয়ালঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। সেখানেও জনতা তাকে আক্রমণ করে। পুলিশ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।
পাকুন্দিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে হেলাল মিয়াকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস আগে হাবিবউল্লাহর বড় ভাই আমানুল্লাহর ছেলে সাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে জুবায়েরের ঝগড়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও কোনো মীমাংসা হয়নি।
হাবিবউল্লাহ বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর হেলালের পরিবার তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছিল। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহ মাঠের দিকে যাওয়ার পথে হেলালের ভাগ্নে মুখলেস হাবিবউল্লাহর পথ আটকে রাখে। এরপর হেলালসহ কয়েকজন মিলে লাঠি ও রড দিয়ে তাকে গুরুতরভাবে আহত করে ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সর্বশেষ খবর