
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিছুর রহমানকে (৫৩) বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভারতে চিকিৎসা ভিসায় যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্ট যাচাইকালে তার নামে একটি মামলার তথ্য ডাটাবেজে পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত আনিছুর রহমান রংপুর সদর উপজেলার কোতোয়ালী থানার ইকোরচালি গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর এ১৪৯৯০৫৬১।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, আনিছুর রহমানের পাসপোর্ট স্ক্যান করার সময় ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে রংপুর কোতোয়ালী মেট্রো থানায় ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর একটি মারামারির মামলা (নম্বর ০৭) দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি ১৪৩, ১৪৮, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ এবং ১১৪ ধারায় রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আনুষ্ঠানিকতা শেষে আনিছুর রহমানকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, আটক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বিধি অনুযায়ী তাকে রংপুর কোতোয়ালী মেট্রো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আটকের পর আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিবার বিপুল ভোটে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে, তা তিনি আগে জানতেন না।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ইমিগ্রেশন এবং পুলিশের মধ্যে ডাটাবেজ সমন্বয় জোরদার করা হয়েছে, যাতে পলাতক আসামিরা সীমান্ত দিয়ে পালাতে না পারে। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক দিনে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আরও চারজন তালিকাভুক্ত আসামিকে আটক করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর