
সিরাজগঞ্জ: কামারখন্দ উপজেলায় ব্যাটারিচালিত মিশুক ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যার অভিযোগে এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ছিনতাই হওয়া মিশুকটিও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার বিশ্বাসবাড়ি এলাকার ফজল মন্ডলের ছেলে তুহিন মন্ডল (৪০), একই এলাকার লালচান মন্ডলের মেয়ে হালিমা খাতুন (৪০), সাইদুল ইসলামের ছেলে শাহাদত সরকার (২৬) ও ইউনুস আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৬)।
নিহত ইসলাম প্রামানিক (২৪) বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বাসবাড়ি এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি একরামুল হোসাইন জানান, ১৯ জুন রাতে ইসলাম প্রামানিককে কুপিয়ে হত্যা করে তার মিশুকটি ছিনতাই করা হয়। ২০ জুন সকালে পাশের কামারখন্দ উপজেলার বলরামপুর এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা মামলা দায়ের করেন।
ওসি একরামুল হোসাইন আরও জানান, সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় দুজনকে এবং মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাই হওয়া মিশুকটি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার বাপ্পি তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে তুহিন মন্ডল নিহত ইসলামের চাচা এবং হালিমা খাতুন তার পরকীয়া প্রেমিকা। বাকি দুজন নিহত ইসলামের বন্ধু। তারা একসঙ্গে জুয়ার বোর্ডে টাকা ধার দিতেন। নিহত ইসলাম জুয়ার বোর্ডে লাগানোর জন্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরে তারা ইসলামকে হত্যা করে মিশুক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ জুন রাতে হালিমা খাতুন বাদে বাকি তিনজন ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে মিশুকটি ছিনতাই করেন। পরে তারা মিশুকটি বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর