
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর বানপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত ফকির চান মণ্ডলের ছেলে আব্দুল খালেক (৪৫) এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ঈদগাহপাড়ার ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে নাজমুল হক (২৯)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ জুন জীবননগরের মিনাজপুর বানপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার এক শিশুকে ডালিমের প্রলোভন দেখিয়ে বাগানের ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আব্দুল খালেককে আসামি করে জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে জীবননগর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত একমাত্র আসামি আব্দুল খালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
অপরদিকে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার বাড়াদি গ্রামের মীরপাড়ার এক বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। পরে ওই কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর সে বছরের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি নাজমুল হককে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম। মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত একমাত্র আসামি নাজমুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহজাহান মুকুল জানান, পৃথক দুটি রায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার সন্তুষ্ট। ধর্ষণের ঘটনায় দুটি রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বশেষ খবর