চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির অধীনে ৩১টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের স্বাক্ষরিত এই কমিটিগুলো প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ৩ জুন দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এসব ওয়ার্ডের তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

নবগঠিত ৩১ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের পাশাপাশি একজন করে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং একাধিক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্য রাখা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডকে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিট ও ওয়ার্ড সম্মেলন সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শওকত আজম খাজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, পর্যায়ক্রমে অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও কমিটি দেওয়া হবে। ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ইউনিট ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন করার কথা বলা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হওয়া ওয়ার্ডগুলো হলো: ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড, ৪নং উত্তর চান্দগাঁও ওয়ার্ড, ৫নং মোহরা ওয়ার্ড, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড, ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড, ১৪নং লালখানবাজার ওয়ার্ড, ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড, ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড, ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড, ২০নং দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড, ২২নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড, ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ড, ২৬নং ষোলশহর ওয়ার্ড, ২৭নং আগ্রাবাদ ওয়ার্ড, ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড, ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড, ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ড, ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড, ৩৩নং ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড, ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড, ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড, ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড, ৪২নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড, ৪৩নং আমিন শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক ওয়ার্ড, ৪৪নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ৪৫নং দক্ষিণ চান্দগাঁও ওয়ার্ড।

নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ জানান, পূর্বে চট্টগ্রাম মহানগরে ৪১টি ওয়ার্ড ও ২টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডসহ মোট ৪৩টি ওয়ার্ড ছিল। নতুন করে আরও ৫টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় এখন মোট ৪৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাকি ওয়ার্ডগুলোর কমিটিও গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞ, বিগত আন্দোলনে সক্রিয়, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এবং তৃণমূলে জনপ্রিয়—এমন কর্মীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই এই কমিটিগুলো করা হয়েছে। দলের দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন এবং ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মহানগরের সাংগঠনিক ১৫টি থানা ও ৪৩টি ওয়ার্ড কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।

সালাউদ্দিন/সাএ