
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের এমদাদ আলী ছাত্রী নিবাসের শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করে হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত চেয়ে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযুক্ত ফরিদ হোসেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং ছাত্রী নিবাসের হোস্টেল সুপার। অভিযোগের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, হোস্টেলে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের খাবারের বাজার করার জন্য হোস্টেল সুপার ফরিদ হোসেন নির্দিষ্ট কিছু দোকান নির্বাচন করে দিয়েছেন। ওই দোকানগুলো থেকে নিম্নমানের চাল, ডাল, মসলা, মাছ ও মাংস বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হতো।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, "মেসার্স পটুয়াখালী খাদ্য ভান্ডার ও ইসলাম ব্রাদার্স" নামের দুটি দোকান থেকে প্রতি বস্তা চাল ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়েছে, যেখানে অন্য দোকানে একই চাল ১৩০০ টাকায় পাওয়া যায়। এছাড়া ২০ টাকার আলু ২৭ টাকায় এবং ৪ হাজার টাকার মসলা ৬ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। দোকানদার ভালো পণ্যের দাম নিলেও দিতেন পচা আদা, পচা আলু ও পচা পেঁয়াজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোস্টেলের একজন সাবেক ম্যানেজার জানান, ফরিদ হোসেন ওই দোকান থেকে নিয়মিত বাজার করার জন্য বলেছিলেন এবং তিনিই দোকানগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স পটুয়াখালী খাদ্য ভান্ডারের মালিক রিপন মিয়া প্রথমে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের মহিলা হোস্টেলে চাল সরবরাহের কথা অস্বীকার করেন। পরে তিনি বলেন, অনেক আগে চাল নিয়েছিল, তবে দাম বেশি রাখা হয়নি।
ইসলাম ব্রাদার্সের মালিক মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, তারা মালের দাম বেশি রাখেননি। তবে ২০ টাকার আলু ২৭ টাকায় রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন দাম বেশি ছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে হোস্টেল সুপার ফরিদ হোসেন বলেন, তিনি অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত নন। বাজারসহ সবকিছু ছাত্রীরাই করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর অভিযুক্ত দোকান পরিবর্তন করা হয়েছে।
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অন্য দোকান থেকে পণ্য কেনার জন্য বলা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর