
নবীগঞ্জে জনতার বাজার নিয়ে বিরোধের জেরে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই দল পরীক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার নিয়ে উত্তর গজনাইপুর ও দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত শনিবার মামলার আসামি গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ গজনাইপুরে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এরপর রবিবার যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩ জনকে আটক করা হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এর জের ধরে গতকাল সোমবার সকালে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র রাহেল আহমদ, তাহমিদ মিয়া, সাদিয়া আহমদ, জাহিদ আহমদ ও রিয়াদ পরীক্ষা দিতে গেলে উত্তর গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র শুভ, মিজান ও ফাহাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় উভয় গ্রামের লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র রাহেল আহমদ, তাহমিদ মিয়া, সাদিয়া আহমদ, জাহিদ আহমদ ও রিয়াদকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তারা এ বিষয়ে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তারা জনৈক আলতাব মিয়া গং তাদের বাধা ও মারধর করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র শুভ, মিজান ও ফাহাদও লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ, জনতার বাজার ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে দক্ষিণ গজনাইপুরের ছাত্ররা তাদের ওপর হামলা করে আহত করেছে। তবে তারা আহত অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন তালুকদার উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কয়েকজন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, তদন্ত করে এর কারণ বলা যাবে। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে বহিরাগতরাই বেশি জড়িত। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, তারা এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর