শাহজাদপুরে গত তিন দিন ধরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। শাহজাদপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আয়শা ইসলাম উর্মি উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা গ্রামে প্রেমিক রাজের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

আয়শা জানান, রাজের সঙ্গে তার দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তারা স্থানীয় "ইনসিয়া" নামক একটি রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে বিয়ে করেন। এরপর তারা শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন। তাদের সম্পর্কের একপর্যায়ে আয়শা গর্ভবতী হলে তারা দুজনে মিলে স্থানীয় ক্লিনিকে গর্ভপাত করান। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে সংসার শুরু করার কথা থাকলেও রাজ নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকে। আয়শা বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজকে চাপ দিলে সে বিয়ে অস্বীকার করে।

আয়শা আরও জানান, তাদের এই সম্পর্ক কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে তিনি নিরুপায় হয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে রাজের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন। রাজের পরিবার তাকে মারধর ও নানাভাবে ছলচাতুরি করে বিদায় করতে না পেরে আত্মগোপন করেছে। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে তিনি ওই বাড়িতে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান আয়শা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটি স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য অনশন করছে। প্রেমিক রাজ পলাতক থাকায় আপাতত কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে।

পোতাজিয়া ইউনিয়ন বিটের দায়িত্বরত শাহজাদপুর থানার এসআই এরশাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি স্থানীয় সমাজসেবা অফিসকে জানানো হয়েছে এবং তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত এর সমাধান চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।