চাটমোহরে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সোয়াদ হোসেন কানাইয়েরচর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে এবং কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলাকালে শিক্ষক হাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে সোয়াদ বাইরে যায়। ক্লাসে ফিরতে দেরি হওয়ায় শিক্ষক তাকে চড় মারেন। চড়টি সোয়াদের নাকে লাগলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
সোয়েদের বাবা মুকুল হোসেন বলেন, “লেখাপড়ার জন্য মারলে আমার আপত্তি ছিল না। কিন্তু যেভাবে রক্তাক্ত করেছে, আমি এর বিচার চাই।”
কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, ঘটনার সময় তিনি অফিসে ছিলেন। বিষয়টি জানার পর তিনি শিশুটির বাড়িতে যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, “ক্লাস চলাকালে সোয়াদ বারবার বাইরে যাচ্ছিল। কয়েকবার ডাকার পর সে ক্লাসে ঢুকলে আমি চড় মারতে গিয়ে তার নাকে আঘাত করি। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমি দুঃখিত।”
সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, “বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
সর্বশেষ খবর