
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে মা ও তার দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
বাংরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, আজ হয়তো নিহতের পরিবারের লোকজন মামলা করবেন। নিহত রাসেলের স্ত্রী মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি কেউ মামলা না করে, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
এদিকে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোবাইল ফোন ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন—কড়ইবাড়ী গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে মো. রাসেল (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। হামলায় আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫)। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে রুবির জামাতা মনির হোসেনের সহযোগী মারুফ স্থানীয় স্কুলশিক্ষক রুহুল আমিনের একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া এবং আকাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল রুবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল এবং ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে এলাকার শতাধিক লোক ঘটনাস্থলে গিয়ে রোকসানা, রাসেল ও জোনাকিকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং রুমা আক্তার আহত হন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর