
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উৎসবমুখর পরিবেশে দুই দিনব্যাপী মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত চলা এই প্রতিযোগিতায় ৪২ জন সৌখিন মৎস্য শিকারি অংশ নেন।
শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন লেকের (পুকুর নং-৩) ‘ভ্রাতৃত্বের মোহনা’ ঘাটের পাড়ে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।
মৎস্য খামারের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মৎস্য খামার ইন-চার্জ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীমসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সৌখিন মৎস্য শিকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, "অনেকদিন পর এমন আনন্দঘন পরিবেশে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা সফলভাবে আয়োজন করায় আমি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।" তিনি ভবিষ্যতে প্রতিটি মৎস্য শিকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে টোকেন গিফট হিসেবে ক্যাপ (টুপি) দেওয়ার এবং এ ধরনের আয়োজন আরও বড় পরিসরে করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, "অনেক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আয়োজন দেখে ভালো লাগলো। লেকের শান্ত পরিবেশে মাছ ধরার মজাই আলাদা। আয়োজনও ছিল দারুণ।"
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার জানান, ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। লটারির মাধ্যমে স্থান নির্ধারণের পর সেরা তিনজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রায় ৯ কেজি, দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রায় ৮ কেজি এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রায় ৭ কেজির মাছ তুলে দেওয়া হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর