
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিন সদস্যকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংগরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, আকুবপুর ইউনিয়নের পীরকাশিমপুর গ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে মো. নাজিম উদ্দীন বাবুল ও মো. সবির আহমেদ নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হত্যা মামলার ১৮ ও ১৯ নম্বর আসামি। এছাড়া, র্যাব-১১ এর একটি দল ঢাকা থেকে আরও ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে কড়ইবাড়ি গ্রামে মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে স্থানীয়রা খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকিকে (২৯) পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় রুমা আক্তার (২৮) নামের পরিবারের আরেক সদস্য গুরুতর আহত হন, যিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় নিহত রুবি আক্তারের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাংগরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ শিমুলসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল এবং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। মোবাইল ফোন চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হলেও এটি দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সর্বশেষ খবর