
কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে আব্দুল্লাহ ভুট্টো নামের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ ভুট্টো ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি প্রকাশ্যে অস্ত্র মহড়া দেন এবং চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলা ও হামলার হুমকি দেন।
গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ মিঠাছড়ি স্টেশনে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আহমদ উল্লাহ জানান, তিনি বিগত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী দুদু মিয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানোর কারণে ভুট্টো তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ভুট্টো তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং না দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন।
আহমদ উল্লাহ আরও জানান, চাঁদা না দেওয়ায় ভুট্টো তার ভাই সালামত উল্লাহকে বাজারে অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করেন এবং পরে তাদের লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভুট্টো রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এলাকার ব্যবসায়ী ও বিত্তশালীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদা না দিলে கொலை মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
শফি আলম নামের এক গাছ ব্যবসায়ী জানান, ভুট্টোর ভয়ে তিনি এক লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতার কারণে ভুট্টো আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ভয়ে অনেকে বাড়ির সামনে সিসিটিভি বসাচ্ছেন, আবার কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ ভুট্টো সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র।
জেলা যুবদলের সভাপতি ছৈয়দ মো. উজ্জ্বল জানান, গুলির ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন এবং সত্যতা পেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় দল বহন করবে না। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর