নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কারখানায় ২৫-৩০ জনের একটি দল প্রবেশ করে শ্রমিকদের ৬টি কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় অন্তত ৭ জন শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা যুবদল নেতা মনিরের অনুসারী। কিছুদিন আগে মনির উজ্জামান, স্থানীয় যুবদল নেতা বাদল মিয়া ও নজরুল মাস্টার ওই কারখানায় ড্রেজারের কাজ দেওয়ার দাবি জানান। কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় তারা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ঘটনার পর পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা কনফিডেন্স সিমেন্ট ফ্যাক্টরির এজিএম (প্রশাসন ও বিধিনিয়ন্ত্রণ শাখা) মাহবুবুর রহমান জানান, হামলার ঘটনাটি ঢাকা অফিসকে জানানোর পর কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মামলার প্রধান আসামি মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।

এলাকাবাসী জানায়, মনির হোসেন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আগে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনিরুজ্জামানকে নরসিংদী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সালাউদ্দিন/সাএ