
ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রজ্জব আলী সরদার বাড়ির বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সী শাজাহান মিয়া দীর্ঘ দশ বছর ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জরাজীর্ণ টিনের ঘরে স্ত্রী নিয়ে বসবাস করা এই মানুষটির নেই কোনো স্থায়ী আয়ের উৎস, নেই সরকারি সহায়তা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাজাহান মিয়ার ঘরে কোনো খাট নেই। ফাটা টিনের ছাউনি আর ছেঁড়া কাপড় দিয়ে ঘেরা অস্থায়ী দেয়াল দিয়ে তৈরি ঘরে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। ফলে প্রায়ই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়। অভাবের তাড়নায় পান্তা ভাত আর পোড়া মরিচ খেয়ে দিন কাটে তাদের। প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার ও চিকিৎসার অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে শাজাহান মিয়ার।
স্থানীয়রা জানান, শাজাহান মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করেন, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। স্থানীয়রা সরকারি সহায়তা ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শাজাহান মিয়া বলেন, সরকার অনেককেই ঘর দিয়েছে। তিনি একটি ঘর পেলে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতেন।
ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মিজান জানান, তিনি শাজাহান মিয়ার জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছেন এবং সাধ্য অনুযায়ী আরও সহায়তা করার চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসী ভোলা জেলা প্রশাসনের কাছে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শাজাহান মিয়ার চিকিৎসা, খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন। এটি তার নাগরিক অধিকার বলেও তারা উল্লেখ করেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর