জুলাই গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ঘোষণা করা হবে আগামী ১০ জুলাই। সোমবার (৭ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশের তারিখ নির্ধারণ করে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্ত দেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

সোমবার সকালে প্রিজন ভ্যানে করে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে, গত ১ জুলাই মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শুনানি শুরু হয় এবং প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন। আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন সেদিন উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনের শুনানিটি বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

এরও আগে, গত ১২ মে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে তাকে ‘জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

মামলার পটভূমিতে জানা যায়, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা নিহত হন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যার অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শেষ করার জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল। আদালতের আদেশে বলা হয়, তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।