
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, জেলার গ্রামীণ অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের উদ্দেশ্যে বরাদ্দকৃত এই প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে, যা গ্রামীণ উন্নয়নকে ব্যাহত করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অনুকূলে ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বরাদ্দের বিপরীতে জেলা প্রশাসক ২১টি প্রকল্প গ্রহণ করেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টিআর প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ফোয়ারা, বাগান এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণে কয়েক লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমি, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো শহরের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানেও এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সদর উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শহরের উন্নয়নে ব্যয় হওয়ায় গ্রামের রাস্তাঘাট, জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেহাল অবকাঠামো সংস্কারের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, নীতিমালা অনুযায়ী গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্যই অধিকাংশ কাজ করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় জনসাধারণের আগ্রহ ও দাবির প্রেক্ষিতে কিছু প্রকল্পে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও করা হচ্ছে, যার মধ্যে ছেলেমেয়েদের খেলার মাঠের উন্নয়ন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন অন্যতম।
তবে স্থানীয়দের দাবি, টিআর প্রকল্পের অর্থ শহরের খাতে ব্যয় করার ফলে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং গ্রামের মানুষ প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর