
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পর্যটন-নির্ভর কক্সবাজার। ঈদের ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকেরা বৈরী আবহাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক পর্যটক তাঁদের বুকিং বাতিল করেছেন, যার ফলে হোটেল-মোটেলগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক লায়লা হক জানান, বৃষ্টির কারণে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে বাধ্য হওয়ায় তাঁরা কক্সবাজার ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে আসা সাইফ আহমেদ।
এদিকে, টানা বর্ষণে জেলার ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোর নিচু এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, পাহাড়ের পাদদেশে থাকা লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, সাগরে গোসলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সি-সেফ লাইফগার্ড কর্তৃপক্ষ। সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে লাল নিশানা টানানো হয়েছে, তবে কিছু পর্যটক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে নামছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিকিউরিটি টিম সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়তে পারে। ৯ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসের শঙ্কাও রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর